১২৯- ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করা
২৪৮-(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর শপথ, নিশ্চয় আমি দৈনিক সত্তর -এর অধিকবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাওবা করি।(১)
...............................
(১) সহীহ বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ১১/১০১, হাদীস নং ৬৩০৭।
২৪৯-(২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, হে মানুষ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, নিশ্চয় আমি আল্লাহর কাছে দৈনিক একশত বার তাওবা করি।(২)
.............................
(২) সহীহ মুসলিম, ৪/২০৭৬, হাদীস নং ২৭০২।
২৫০-(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি মহামহিম আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি চিরস্থায়ী, সর্বসত্তার ধারক। আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।’ আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।(৩)
........................
(৩) আবূ দাউদ ২/৮৫, হাদীস নং ১৫১৭; তিরমিযী ৫/৫৬৯, হাদীস নং ৩৫৭৭; আল-হাকিম এবং সহীহ বলেছেন, তার সাথে ইমাম যাহাবী ঐকমত্য পোষণ করেছেন, ১/৫১১, আর শাইখুল আলবানীও সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮২, জামেউল উসূল লি আহাদীসির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪/৩৮৯-৩৯০, আরনাঊত এর সম্পাদনাসহ।
২৫১-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, রব একজন বান্দার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় রাতের শেষ প্রান্তে, সুতরাং যদি তুমি যদি সে সময়ে আল্লাহর যিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে সক্ষম হও, তবে তা-ই হও।(১)
.............................
(১) তিরমিযী নং ৩৫৭৯, নাসায়ী, ১/২৭৯ নং ৫৭২; হাকেম ১/৩০৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮৩; জামে‘উল উসূল, আরনাউতের তাহকীকসহ ৪/১৪৪।
২৫২-(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, একজন বান্দা তার রবের সবচেয়ে কাছে তখনই থাকে, যখন সে সাজদাহয় যায়, সুতরাং তোমরা তখন বেশি বেশি করে দো‘আ কর।(২)
..........................
(২) সহীহ মুসলিম, ১/৩৫০; নং ৪৮২।
২৫৩-(৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, নিশ্চয় আমার অন্তরেও ঢাকনা এসে পড়ে, আর আমি দৈনিক আল্লাহর কাছে একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা করি।(১)
..........................
(১) সহীহ মুসলিম, ৪/২০৭৫, হাদীস নং ২৭০২। ইবনুল আসীর বলেন, «ليُغان على قلبي» এর অর্থ হচ্ছে, ঢাকা পড়ে যায়, পর্দাবৃত হয়ে যায়। উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়া; কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা যিক্র, নৈকট্য ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকতেন। তাই যখন কোনো সময় এ ব্যাপারে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটত অথবা ভুলে যেতেন, তখনি তিনি এটাকে নিজের জন্য গুনাহ মনে করতেন, সাথে সাথে তিনি ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনার দিকে দ্রুত ধাবিত হতেন। দেখুন, জামে‘উল উসূল ৪/৩৮৬।